কর্মস্থলে আড়াই বছর ধরে অনুপস্থিত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা ড. আনোয়ারুল কবীর চৌধুরী। তিনি ফরিদপুরের সরকারি ইয়াসিন কলেজের রসায়নের সহকারী অধ্যাপক। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাস থেকে কলেজে অনুপস্থিত রয়েছেন এ শিক্ষা ক্যাডার।
কর্মস্থলে আড়াই বছর অনুপস্থিত থাকায় সহকারী অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল কবীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রজু করা হয়েছে। শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার প্রস্তুতি শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে তাকে দ্বিতীয় দফায় শোকজ করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, ফরিদপুরের সরকারি ইয়াসিন কলেজের রসায়নের সহকারী অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল কবীর চৌধুরী ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে এ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তার এ ধরনের কাজ সরকারি চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধি পরিপন্থী। এ ধরনের কাজ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩(খ) ও ৩(গ) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, বিনা অনুমতিতে আড়াই বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় সহকারী অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল কবীর চৌধুরীকে অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সাথে তাকে প্রথম দফায় শোকজ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি শোকজের জবাব দেননি। পরে অভিযোগ তদন্ত করা হলে ড. আনোয়ারুল কবীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে ওঠা অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। সে প্রেক্ষিত এ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাকে দ্বিতীয় দফায় শোকজ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ড. আনোয়ারুল কবীর চৌধুরীর স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানায় শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও জানায়, অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সহকারী অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল কবীর চৌধুরীকে ‘কেন চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবেনা’ বা ‘অন্য কোন দণ্ডে দণ্ডিত করা হবেনা’ তা জানতে চাওয়া হয়েছে শোকজ নোটিশে। নোটিশ পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে এর উত্তরা পাঠাতে বলা হয়েছে এ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাকে।