বাণিজ্য নয়, দুই বাংলার মানুষের মনস্তাত্ত্বিক যোগাযোগের সেতু হিসেবে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ বইমেলা। নবম বাংলাদেশ বইমেলার উদ্বোধনীতে অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন দুই বাংলার বিশিষ্টজনরা। এদিকে ৮ বছর আগে ১৬টি প্রকাশনী নিয়ে শুরু হলেও এবার মেলায় অংশ নিয়েছে ৮০টি বাংলাদেশি প্রকাশনী।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুই বাংলার বিশিষ্টজনদের নিয়ে মেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। পরে কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা আয়োজন এবং এর নানা দিক নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন অতিথিরা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেন বলেন, বাংলা সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে এই যে এত বিশ্ব স্বীকৃতি এবং অনবদ্য অর্জন তা বাঙালির জন্য অনেক আনন্দের বিষয়।
কলকাতা বইমেলার সভাপতি সুধাংশু দে বলেন, পড়ার সময় দিতে পারছে না মোবাইলে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। এ যুগে আমরা সাহিত্য চর্চার জন্য আমরা সবাই বিভিন্ন মেলা করতে যাই তার আরও প্রসার করতে হবে।
উদ্বোধনের আগে থেকেই কলকাতার বইপ্রেমীদের ভিড় বাংলাদেশ বইমেলার স্টলগুলোতে। পাঠক সমাগমে স্বাভাবিকভাবেই আশাবাদী দুই বাংলার বিশিষ্টজনরা।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. পবিত্র সরকার বলেন, আমি খুব আনন্দিত এ মেলার মাধ্যমে পশ্চিমবাংলা ও বাঙালিদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।
মেলার প্রথম দিনের ক্রেতাদের আগমনে খুশি প্রকাশকরাও।
কলকাতার রবীন্দ্র সদন মোহর কুঞ্জে আয়োজিত বাংলাদেশ বইমেলা চলবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত।