কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণী বড়াইবাড়ী নুরানি হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক মোহাম্মদ গোলাম হোসাইন। মহামারিতে কর্মহীন হয়ে এখন কলা বেচে সংসার চালান। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে দেশের স্কুল-কলেজের মতো হাফিজিয়া মাদরাসাও ছুটি হয়ে যায়।
নারিকেলবাড়ী খামার ভাটিয়াপাড়ার গোলাম হোসাইন জানান, দুই ভাই, তাঁদের স্ত্রী, সন্তান ও মাকে নিয়ে ৯ সদস্যের সংসার। হাফিজিয়া মাদরাসায় সাত হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতেন। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সংসার যেন আর কিছুতে চলছিল না। এমন পরিস্থিতিতে পরিচিত এক কলা ব্যবসায়ীর পরামর্শে এ ব্যবসা শুরু করেন, যা উপার্জন হয় তা দিয়েই কোনো রকমে দিন কেটে যাচ্ছে।
তিনি আরো জানান, তিনি কোরআনে হাফেজ হওয়ার পাশাপাশি রংপুর জুম্মাপাড়া কওমি মাদরাসা থেকে দাওরা হাদিস পাস করেন। পড়ালেখা শেষ করে ২০০৪ সালের দিকে চাকরি শুরু করেন।
শুধু গোলাম হোসাইন নন, এ উপজেলায় প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাদের অনেকে পেশা পরিবর্তন করেছে।