জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মহিপুর খানাবাদ কলেজের প্রভাষক শহিদুল ইসলাম শাহীনের ওপর শারীরিক হামলা এবং তার বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। কুয়াকাটা পৌর শহরের চার নং ওয়ার্ডে শুক্রবার (৫ অক্টোবর) সন্ধায় এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষককে বাঁচাতে এসে তার স্ত্রী শিক্ষিকা শাহীনুর বেগমসহ পাঁচজন আহত হন। গুরুতর আহত শিক্ষক শাহীনকে কুয়াকাটা হাসপাতালে ভর্তি করার পর অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শিক্ষিকা শাহীনুর বেগম ও শাহীনের বড় ভাই মো. মিলনসহ চার আহতকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহত শিক্ষক শহিদুল ইসলাম শাহীন জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মুকুল নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে নাছির, নুর আলম, জাকারিয়া, জাহিদ নামের কয়েকজন এ হামলা চালায়। হামলাকারীরা ঘরের তিনটি সিসি টিভি ক্যামেরা, মনিটর ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে ১২ লাখটাকাসহ জমির দলিল লুট করে নেয়।
তিনি জানান, মুকুলের সঙ্গে জমি নিয়ে তার বিরোধ চলে আসছে। মুকুল এ নিয়ে মামলা করলে আদালত তার বিপক্ষে রায় দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী এক আওয়ামীলীগ নেতার সহায়তায় সন্ত্রাসী ভাড়া করে তার ওপর এবং তার বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট চালায় মুকুল।
এ ব্যাপারে মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) মাহাবুব আলম দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, প্রভাষক শাহীনের বাসায় হামলা, মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় মুকুলকে প্রধান আসামি এবং পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার রাতে আহত প্রভাষকের স্ত্রী শিক্ষিকা শাহীনুর বেগম এ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।