পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নবম শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম আক্তারের (১৫) শয়ন কক্ষের মেঝে রক্ত, পায়ের নূপুর, দুই টুকরো মাংস, রক্তমাখা দুটি ছুরি এবং একটি জবাই করা রাজহাঁস উদ্ধার করে পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় মরিয়ম আক্তারের মা নুরজাহান (৪০), বড় বোন রেশমা (১৯) এবং তার স্বামী মাঈনুল ইসলামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ বৃহস্পতিবার ( ২০ সেপ্টেম্বর) মহিপুর থানায় নিয়ে রাতভর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে তাদের কাছ থেকে নতুন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে হত্যার পর লাশ গুমের আশঙ্কা
মেয়ে হত্যা ও লাশ গুমের ঘটনায় বৃহস্পতিবার মরিয়মের মা নুরজাহান বেগম বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামিদের নামে একটি মামলা করেন । মরিয়মের বাসায় বুধবার থেকে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
মহিপুর থানার কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজ সংলগ্ন মৃত বাবুল মল্লিকের বাড়িতে বুধবার ভোররাতে মরিয়ম আক্তারের (১৫) শোবার ঘরের মেঝে রক্ত, পায়ের নূপুর, দুই টুকরো মাংস, রক্তমাখা দু’টি ছুরি পরিত্যক্ত অবস্থায় গেলেও মরিয়ম নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনার পর বুধবার ভোরে মহিপুর থানা পুলিশ, পটুয়াখালী জেলা পুলিশ, সিআইডি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে পর্যবেক্ষণ এবং তদন্ত শুরু করেন।
এ ব্যাপারে মহিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান বলেন, মরিয়ম আক্তারের কোন সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। তবে তার ঘর থেকে রক্ত, ছুরি, নূপুর এবং একটি রাজাহাঁসসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করে পরীক্ষা নীরিক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরই নিশ্চিত হয়েই পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।