সর্বশেষ ৩০২টি কলেজ জাতীয়করণের মাধ্যমে দেশের প্রায় প্রত্যেকটি উপজেলায় কলেজ জাতীয়করণ হওয়ার পথে। অথচ একমাত্র ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধটি লিখেছেন প্রশান্ত কুমার বসাক।
এর অবস্থান উপজেলা সদরে। সবচেয়ে বৃহৎ ও পুরনো। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত। উপজেলা পর্যায়ে কলেজ জাতীয়করণের জন্য সরকারি নীতিমালায় যে বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা হয়েছে, তার সবগুলোই এ কলেজের রয়েছে। যেমন পাঁচ একর পরিমাণ বিস্তীর্ণ ক্যাম্পাস, পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, পাঁচ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী, উপজেলার প্রধান সড়ক সংলগ্ন চমৎকার লোকেশন, সকল পরীক্ষায় অত্যন্ত সন্তোষজনক রেজাল্ট, দক্ষ শিক্ষকমণ্ডলী, লাইব্রেরি, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ইত্যাদি।
২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ জুলাই রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণের জন্য সম্মতি প্রদান করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২ আগস্ট ২০১৬-তে কলেজ পরিদর্শনের জন্য চিঠি জারি করা হয় এবং অজ্ঞাত কারণে ঐ দিনই জাতীয়করণের পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য পত্র জারি করা হয়। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৫ মে জাতীয়করণের পক্ষে হাইকোর্টের রায় পাওয়া যায়। তারপরেও দুর্ভাগ্যবশত কলেজটি জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত। বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং অবিলম্বে জাতীয়করণের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
প্রশান্ত কুমার বসাক : প্রভাষক, রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ, ঠাকুরগাঁও।