রাজশাহীর বাঘায় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে হাতুড়ি পেটা করেছে দুবৃত্তরা। পূর্ব শত্রুতার জের এমন ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে বাঘা সরকারি শাহদৌলা ডিগ্রী কলেজে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত ছাত্রলীগ নেতা সামসুল ইসলাম বাদি হয়ে বাঘা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম।
আহত সামসুল ইসলাম পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাঘা শাহদৌলা ডিগ্রী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এছাড়া তিনি উপজেলার দেবত্তপুর গ্রামের ইজদার আলীর ছেলে।
বাঘা থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সামসুল ইসলাম সোমবার সকাল ১০টা থেকে প্রায় ১১টা পর্যন্ত বিভাগের শিক্ষক আবু হানিফ মিঞার ক্লাস করেন। ক্লাস থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসের অফিস কক্ষের সামনে দাড়িয়ে ছিলেন। এ সময় বহিরাগত সবুজ আহম্মেদ, জাহিদ হোসেন, এলিট হোসেনসহ ৮-১০ জনের একটি দল তাকে ধরে নিয়ে বাঘা ঈদগাহ মাঠের মধ্যে এক চটপটি দোকানের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানে তারা হাতুড়ি, লোহার রড, রাম দা দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে তার চিৎকারে কলেজের শিক্ষক ও ছাত্ররা এগিয়ে আসলে আহত সামসুল ইসলামকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক আক্তারুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সামসুল ইসলামের দুই হাটু ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাতুড়ি, লোহার রড ও রাম দায়ের আঘাত রয়েছে।
বাঘা সরকারি শাহদৌলা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমার কলেজের অনার্সের এক ছাত্রকে বহিরাগত কিছু ছেলে পূর্ব শত্রতার জেরে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। কলেজের পক্ষ থেকে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে ওই ছাত্রকে দেখতে গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।