শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক অডিট রিপোর্টে প্রদর্শিত বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের অনৈতিক আচরণ ও ৩৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী বিধি বহির্ভুতভাবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে ব্যক্তি আয়কর পরিশোধ, বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসা-ডরমেটরিতে থাকার পরও ভাড়া পরিশোধ না করা, আবার বইক্রয় ভাতা গ্রহণ, ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রি ও পরীক্ষা খাতে অর্জিত অর্থ তহবিলে জমা না করায় বিবরণে চরম হতাশা ব্যক্ত করেন কমিটি সদস্যরা। বিষয়গুলো অনিয়ম হিসেবে চিহ্নিত করে দায়ী ব্যক্তির কাছ থেকে অনধিক দুমাসের মধ্যে এসব টাকা আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. রুস্তম আলী ফরাজী। কমিটির সদস্য ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর, আবুল কালাম আজাদ, উপাধ্যক্ষ মো. আবদুস শহীদ, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, সালমান ফজলুর রহমান, মনজুর হোসেন, আহসানুল ইসলাম (টিটু), মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এবং মো. জাহিদুর রহমান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০০৯ থেকে ১২-১৩ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ২০০৭-২০১২ অর্থ বছরের অডিট আপত্তিগুলো পর্যালোচনা করে কমিটির দেওয়া নির্দেশনার আলোকে নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভাইস চ্যান্সেলরগণ, মহাহিসাব নিরীক্ষা অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।