রংপুরের বদরগঞ্জের মেধাবী শিক্ষার্থী রুমাইয়া আকতার রুমি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। ঘাতকদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবিতে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বদরগঞ্জে মানববন্ধন করা হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের আয়োজনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতশত শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এতে অংশ নেন।
রুমি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে মানবন্ধনে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক টুটুল চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক পলিন চৌধুরী, নাট্য ব্যক্তিত্ব নান্নু চৌধুরী, শিক্ষার্থী পলাশ, শাহিনুর রহমান, সাজু ইসলাম, রুমির মা-বাবা ও বোনসহ পরিবারের লোকজন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুর সদরের মমিনপুর এলাকায় তিস্তা সেচ ক্যানেলে বস্তাবন্দি অবস্থায় রুমির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রুমি বদরগঞ্জ পৌর শহরের মুন্সিপাড়ার বদরুজ্জামান বকুল ও রফিকা বেগম দম্পতির মেয়ে। তিনি পার্শ্ববর্তী দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার ফুলবাড়ি অনার্স কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আগের দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে রংপুরের একটি প্রতিষ্ঠানে ট্রেনিং করার কথা বলে রুমি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। ওই দিন রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়। পরদিন মমিনপুর এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা ক্যানেলের পানিতে সাদা রঙের ইউরিয়া সারের বস্তার ভেতর একটি মরদেহ দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা পুলিশে খবর দেন।
পরে বস্তার মুখ খুলে রুমির মরদেহ পাওয়া যায়। প্রেমের সম্পর্কের কারণে দুর্বৃত্তরা রাতের কোনো এক সময় তাকে হত্যা করে মরদেহ পানিতে ফেলে রেখে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উজ্জল মিয়া নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার বাড়ি বদরগঞ্জ পৌর শহরের বালুয়াভাটা এলাকায়।
বদরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, রুমি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে দুই থানা পুলিশের মধ্যে সমন্বয় করা হচ্ছে।