জামালপুরের মাদারগঞ্জে পুলিশে চাকরি দেয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ করে আরও টাকা আদায়ের জন্য কলেজছাত্রকে অপহরণ করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কলেজছাত্রের নাম রেজাউল করিম। সে উপজেলার চরপাকেরদহ গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে।
মাদারগঞ্জ থানা পুলিশ ও কলেজছাত্র রেজাউল করিম জানান, জাকির হোসেন ও লুৎফর রহমান তাকে পুলিশের চাকরি দেয়ার কথা বলে ১৫ লাখ টাকার মৌখিক চুক্তি করে। প্রথমে তারা নগদ এক লাখ ১০ হাজার টাকা নেয়। পরে বিশেষ সুপারিশের কথা বলে তাকে গত রোববার ঢাকায় নিয়ে আসে।
এক পর্যায়ে তারা রেজাউলকে অচেনা একজন লোকের কাছে মাইক্রোবাসে তুলে দেয়। সেই লোক রেজাউলকে মিরপুরে একটি বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে মারপিট ও ব্লেড দিয়ে সারা শরীরে কেটে ক্ষত-বিক্ষত করে। তাকে দিয়ে জোর করে পরিবারের কাছে ফোন করিয়ে চাকরি হয়েছে বলে বাকি টাকা চায়। তারা ওই টাকা বাকুরচর গ্রামের লুৎফরের কাছে দিতে বলে। রেজাউলের পরিবার কথা মতো লুৎফরকে ৬ লাখ টাকা দেয়।
টাকা পাওয়ার পর প্রাণে মেরে ফেলার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকলে টের পায় রেজাউল। সে কৌশলে ওই ৪ তলা বাসা থেকে পাইপ বেয়ে নিচে নেমে আসে এবং এ ঘটনা ঢাকার মিরপুর থানাকে জানায়। পরে পুলিশ বুধবার জাকির হোসেনকে মিরপুর থানা থেকে গ্রেফতার করে।
রেজাউলের বাবা সোনা মিয়া মাদারগঞ্জ থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ লুৎফরকে বাকুরচর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। ওই সময় লুৎফরের বাসা থেকে পাঁচ লাখ ৯৪ হাজার পাঁচশ টাকা উদ্ধার করা হয়।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) জোনাইল গ্রামের জাকির হোসেন ও বাকুরচর গ্রামের লুৎফর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।