রাজশাহীতে কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলায় মোসা. দেলখোস বেগম (৪৫) নামের এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে গোদাগাড়ীর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খাইরুল ইসলাম।
গ্রেফতার দেলখোস বেগম গোদাগাড়ীর ফরাদপুর গ্রামের মৃত এমদাদুল হকের স্ত্রী। এই মামলায় তার ছেলে খায়রুল ইসলামও আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয় ওই কলেজছাত্রী। তিনি গোদাগাড়ী উপজেলার এক কৃষকের মেয়ে। খাইরুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ নিয়ে মেয়েটির পরিবার বিয়ের জন্য ছেলের পরিবারকে চাপ দিলে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে ছেলেটি।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী বলেন, গত চার বছর ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক। তারপর মাঝে মাঝে আমাদের দৈহিক সম্পর্ক হয়। গত দেড় বছর আগে খাইরুল ইসলামের বাড়িতে জানালে তার মা দেলখোস বেগম এবং মামা আব্দুল কাদির আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি থেকে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু তারা পরে বিয়েতে রাজি হয়নি।
ওসি খাইরুল ইসলাম বলেন, গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতে ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে ছেলে ও তার মায়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। এই মামলায় ধর্ষক খাইরুলের মাকে গ্রেফতার করা হয়।
ওসি খাইরুল ইসলাম আরও বলেন, ধর্ষণ মামলায় দেলখোস বেগমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর ওই কলেজছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষক খাইরুলকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ বলে জানান তিনি।