কুড়িগ্রামের রাজারহাটের এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের ১৯ দিন পর বগুড়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে অপহরণকারী জিতু মিয়াকে গ্রেফতার করে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে বগুড়া চারমাথা গোদার পাড় উত্তর পাড়ার আজিজার রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এ কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতার জিতু মিয়া বগুড়ার চারমাথা গোদারপাড় উত্তর পাড়া এলাকার আজিজার রহমানের দ্বিতীয় পুত্র।
পুলিশ ও কলেজছাত্রী জানান, গত ৩-৪ মাস আগে ভুল মোবাইল নম্বর বিনিময়ের মাধ্যমে জিতু মিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই কলেজছাত্রীর। এসময় জিতু মিয়া নিজেকে হিন্দু পরিচয় দিয়ে গত ১ জানুয়ারি সকালে সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজের সামনে থেকে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে।
এরপর প্রায় ১৯ দিন ধরে একটি বাড়িতে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তাকে। এদিকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর মেয়েকে না পেয়ে তার বাবা গত ৬ জানুয়ারি রাজারহাট থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকারীর মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিং করে কয়েক জায়গায় অভিযান চালায় পুলিশ।
বগুড়া পুলিশের সহায়তায় অবশেষে প্রায় ১৯ দিন পর রাজারহাট থানার ওসি (তদন্ত) পবিত্র কুমারের নেতৃত্বে শনিবার রাতে বগুড়া চারমাথা গোদার পাড় উত্তর পাড়া আজিজার রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। সেইসঙ্গে অপহরণকারী জিতুকেও আটক করে পুলিশ। পরে ১৯ জানুয়ারি সকালে জিতুকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এদিকে ১৬৪ ধারায় ওই কলেজছাত্রীর জবানবন্দি নেয়া হয়েছে এবং কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, এর আগে একই এলাকায় ৪টি বিয়ে করেছে বলে জানায় জিতু মিয়া। এর মধ্যে নির্যাতন করে ২ জন ও তালাক দিয়ে ২ জন স্ত্রীকে তাড়িয়ে দেয় সে।