মাগুরার মহম্মদপুরে আকলিমা খাতুন আখি (১৬) নামে এক কলেজছাত্রীকে বেঁধে গায়ে আগুন লাগিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার দেয়া আগুনে তার পেট ও বুক ঝলসে গেছে। সোমবার (১৭ আগস্ট) এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর দাদা রতন মোল্যা বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে মহম্মদপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলার ৫ আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
ভুক্তভোগী আকলিমা উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের কেরীনগর গ্রামে আকরাম মোল্যার মেয়ে।
মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তারক বিশ্বাস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ঘটনার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে আখি ঘরের বাইরে যান। কিছু সময় পর তার চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে দেখে আখির গায়ে আগুন জ্বলছে। তখন পরিবারের সদস্যরা অগ্নিদগ্ধ আখিকে উদ্ধার করে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতাল ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সোমবার আখির দাদা রতন মোল্যা ৭ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে আসামিরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন বাদী। পুলিশ মামলায় অভিযুক্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতাররা হলো- কেরীনগর গ্রামের আরিফ মোল্যা (২৬), হারেজ মোল্যা (৬২), মাসুদ মোল্যা (৪৫), কামরুল হাসান (৫০)ও বাবুল মোল্যা (৪৫)। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এটি প্রতিপক্ষের পুড়িয়ে মারার চেষ্টা নাকি আত্মহত্যার চেষ্টা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সর্বশেষ আজ মঙ্গলবার দুপুরে মুহম্মদপুর থানার ডিউটি অফিসার এস আই লিয়াকত মোবাইলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৈদিনক শিক্ষাডটকমকে জানান, এ বিষয়ে ৭ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।