অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় দোকানির হাতে লাঞ্ছিত হন এক কলেজছাত্রী। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে অভিযুক্ত দোকানিকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়ে তিনি সাহসিকতার পরিচয় দিলেন। গতকাল শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর সদরে এ ঘটনা ঘটেছে।
ওই ছাত্রীর বাড়ি নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের সৈয়দগাঁও গ্রামে।
ছাত্রীর ভাষ্য, তিনি আনোয়ারুল হোসেন খান চৌধুরী মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হন। গত সপ্তাহে পৌর সদরের মারফত আলী কমপ্লেক্সের ‘প্লাস নাইন ওয়ান কম্পিউটার’ দোকানে যান অনলাইনে ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করার জন্য। ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক ফয়সল আহমেদ ওরফে শিমুল তাঁর কাছ থেকে আবেদন বাবদ এক হাজার টাকা নেন। দোকানি এও বলেন, দু-এক দিনের মধ্যেই তাঁর মোবাইলে আবেদন নিশ্চিতকরণ এসএমএস পৌঁছে যাবে। তবে সপ্তাহ পেরোলেও ওই কলেজছাত্রী এসএমএস পাননি।
পরে তিনি জানতে পারেন, আবেদন না করেই তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন শিমুল। এ নিয়ে গতকাল কথা বলতে ওই দোকানে যান ভুক্তভোগী। একপর্যায়ে শিমুল ওই ছাত্রীর চুলের মুঠি ধরে টেনেহিঁচড়ে কিল-ঘুষি দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। এ সময় কেউ এগিয়ে না আসায় তিনি অপমানিত বোধ করেন। পরে তিনি সেখান থেকে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে ঈশ্বরগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ আসে। এরপর ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে শিমুলকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় ছাত্রী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরে শিমুলের মা-বাবাসহ পরিবারের লোকজন থানায় এসে ওই ছাত্রীর কাছে ক্ষমা চান। একপর্যায়ে অভিযুক্ত শিমুল মুচলেকা দিয়ে শেষ রক্ষা পান।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক শাউন চক্রবর্তী জানান, জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে থানায় আনা হয়। পরে সমাঝোতা হওয়ায় ওই ছাত্রী লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন।