বরিশালে স্বামীর বাড়িতে সদ্যবিবাহিত কলেজ ছাত্রী সুস্মিতা সরকারের (১৮) মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত ছাত্রীর বাবা স্বপন সরকার বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় স্বামী ও শাশুড়িকে আসামী করে রোববার (৯ জুন) মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে শনিবার নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ধোপাবাড়ির মোড় এলাকা থেকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় কলেজছাত্রী সুশমিতার লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে, এটি হত্যা নয় বরং আত্মহত্যা বলেই প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে পুলিশের।
নিহত সুস্মিতা সরকার নগরীর নবগ্রাম রোড এলাকার বাসিন্দা স্বপন সরকারের মেয়ে এবং সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। রোববার শেবাচিমের মর্গে তার লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে শনিবার রাতেই শেবচিম থেকে আটক হয় স্বামী মাইনুল ইসলাম শান্ত। তাকে রোববার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। স্ত্রী হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তাকে। শান্ত নগরীর ধোপাবাড়ির মোড় এলাকার বাসিন্দা আলতাফ হোসেনের ছেলে।
মডেল থানার এসআই সাইদুল হক দৈনিক শিক্ষাকে জানান, মুসলমান ছেলে মাইনুল ইসলাম শান্তর সাথে খ্রিষ্টান ধর্মালম্বী কলেজছাত্রী সুস্মিতা সরকারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ৫ মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করে। এরপর গতকাল রোববার নিজ ঘর থেকে সুস্মিতার গলায় ফাঁস দেয়া মৃতদেহ উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যায় তার স্বামী শান্ত। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছলে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে আটক করে।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তার পরেও যেহেতু মেয়ের পরিবার হত্যার অভিযোগ করেছে তাই হত্যা মামলাও নেয়া হয়েছে। মেয়ের বাবার অভিযোগ তার মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শাশুড়ি মিলে নির্যাতন করতো। সব শেষে নির্যাতন করেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, তবে স্বামীর পরিবার এটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেছে। তাছাড়া যখন ঘটনা ঘটেছে তখন স্বামী শান্ত বাসায় ছিল না বলে জানিয়েছে। তাই বিষয়টি একটু রহস্যময় মনে হচ্ছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক রহস্য বেরিয়ে আসবে।