মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে প্রথম বর্ষ মানবিক বিভাগে ভর্তি হতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার শিকার হয়েছেন ছাত্রীরা। ভিড় ও অসহনীয় গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক ছাত্রী। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেক্টেড প্রায় হাজারখানেক ছাত্রীকে দুঃসহ অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে বলে ছাত্রী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, শিক্ষা বোর্ড থেকে ২৭ থেকে ৩০ জুন তারিখের মধ্যে টাকা জমা দিয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য সময় নির্ধারণ করে দেয়। সে প্রেক্ষিতে মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষ কেবল ২৭ তারিখই মানবিক বিভাগে ভর্তির জন্য টাকা জমার দিন ধার্য করে। আর এই টাকা জমা দিতে হয় কলেজের নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয় রজনী মার্কেটের দোতলায় অবস্থিত জনতা ব্যাংকে। মার্কেটের ভেতরের অপ্রশস্ত জায়গা ও সরু সিঁড়ির কারণে এদিন সকাল থেকে শত শত ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা ভিড়ে বেসামাল হয়ে পড়েন।
ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, সেখানে কোনো বসবার জায়গা ছিল না। ভর্তি ফরম পূরণ করা ও লেখার সামান্যতম সুযোগও ছিল না। দেখা যায়, কেউ রিক্সাভ্যানের ওপর, কেউ দেয়ালে ফরম রেখে আবার অনেকে মার্কেটের মেঝেতে বসে ভর্তি ফরম পূরণ করেন। টাকা জমার রশিদ লেখাসহ কাগজপত্র গোছাতে গিয়ে ভীষণ বিপাকে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়াও বিকেল ৪টা পর্যন্তও কমপক্ষে ৪ শতাধিক মেয়ে টাকা জমা দিতে না পেরে আতঙ্কগ্রস্থ ছিল।
অভিভাবকরা কলেজের অধ্যক্ষসহ ভর্তি কমিটির সদস্যদের কাছে ব্যাংকের পাশাপাশি কলেজের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় টাকা জমা নেয়া অথবা ৩০ তারিখ রোববার আরেকটি দিন ধার্যের জন্য বার বার আবেদন করে কোনো ফল পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও করেছেন অনেকে।
এদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মাত্র একদিনে এত বিপুলসংখ্যক ছাত্রীর টাকা, কাগজপত্র জমা রাখাকে অসম্ভব এবং অবাস্তব চিন্তা বলে অভিহিত করেছেন।
অন্যদিকে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ ভর্তির জন্য ৪ দিন সময় ধার্য করলেও মাঝের শুক্র ও শনিবারের সরকারি বন্ধের হিসাবটা মাথায় রাখেনি। ফলে মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজসহ যে সব কলেজ ব্যাংকের মাধ্যমে মাসিক বেতন, পরীক্ষার ফি ও ভর্তির টাকা জমা নেয় তারা পড়েছে চরম বিড়ম্বনায়।