খাগড়াছড়ির পানছড়ি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলেজের অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমা কলেজের লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের পাশাপাশি কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যুগান্তরের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমার দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত এবং অবিলম্বে কলেজ অংশের বেতনভাতা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা। রোববার খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক সত্যজিত চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমা কলেজটিকে তার ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে রেখেছেন। অনেক সময় অধ্যক্ষের অনিয়মের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে শিক্ষকেরা ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হয়েছেন। এ সময় আরও অভিযোগ করা হয়, সমীর দত্ত চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের এক নম্বর কালো তালিকাভুক্ত! কলেজ সরকারি হওয়ার পর তিনি বেসরকারি নিয়মে কলেজের শিক্ষার্থীদের বেতন ও পরীক্ষার ফি আদায় করেও কোনো রশিদ দিচ্ছেন না। কলেজের টাকা তিনি ব্যক্তিগতভাবে আত্মসাৎ করছেন। এতে এদিকে যেমন শিক্ষকেরা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন; তেমনি কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কেবল ফরম ফিলাপ বাবদই লাখ লাখ টাকা আদায় করা হলেও তা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে জানানো হয়। এদিকে কলেজ অধ্যক্ষের বিচার, বকেয়া বেতনভাতা পরিশোধের দাবিতে শনিবার থেকে কলেজে তালা দিয়ে রেখেছেন ক্ষুব্ধ শিক্ষক কর্মচারীরা। এতে প্রথম বর্ষের পরীক্ষাসহ শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এই বিষয়ে পানছড়ি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমা জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। সরকারি বিধিমোতাবেক জিও জারির পর থেকে শিক্ষকদের কলেজ তহবিল থেকে বেতনভাতা কীভাবে প্রদান করা হবে সেই বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য নেই। এ ছাড়া চাকরি আত্তীকৃত হলে বেতনভাতাদি ও বোনাসপ্রাপ্ত হবেন। কলেজের সব কার্যক্রম নিয়মমাফিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।