সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, কাগজে মুদ্রিত বইয়ের পাতা ওলটানোর যে আনন্দ তা বইয়ের ইলেকট্রনিক সংস্করণ ই-বুকে নেই। কাগজের বইয়ের স্পর্শ ও গন্ধ সবসময় পাঠককে আকৃষ্ট করে। এর আবেদন সর্বব্যাপী। তবে তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে ই-বুককে অগ্রাহ্য করার কোন উপায় নেই। বরং একটি অপরটির পরিপূরক। কাগজের বই ও ই-বুক দুটোই আমাদের জ্ঞানার্জনের মাধ্যম। একটি ছাপা বা কাগজে মুদ্রিত মাধ্যম, অন্যটি ভার্চুয়াল।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অধুনা প্রকাশ আয়োজিত 'ই-বুক কি কাগজে মুদ্রিত বইয়ের বিকল্প হতে পারে?' শীর্ষক আলোচনা সভা ও অধুনা প্রকাশ লেখক সম্মাননা ২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন ।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. মুহাম্মদ সামাদ ও বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সদস্য উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত।
'ই-বুক কি কাগজে মুদ্রিত বইয়ের বিকল্প হতে পারে?' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক-গবেষক করিম রেজা। প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য-বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম জাবেদ আহমেদ, সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, লেখক-গবেষক আলী আহাম্মদ খান আইয়োব এবং পিন পাওয়ার লিডারশীপ ইন্টারন্যাশনালের ফাউন্ডার লেখক সাইফুল হোসেন।
উল্লেখ্য, অধুনা প্রকাশ লেখক সম্মাননা ২০২০ প্রাপ্ত হয়েছেন সংস্কৃতিজন লেখক কামাল লোহানী, লোককাহিনীবিদ শামসুজ্জামান খান, লেখক-সাংবাদিক হারুন হাবীব, লেখক ও কলামিস্ট আনোয়ার উল আলম, চিত্রশিল্পী ও লেখক সৈয়দ লুৎফুল হক, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মুস্তফা চৌধুরী, লেখক-নাট্যজন রতন সিদ্দিকী, লেখক-কলামিস্ট হায়দার আহমদ খান, গবেষক খান মাহবুব ও কথাশিল্পী ফারজানা মিতু।