গুলশান থেকে কানাডিয়ান ট্রিলিয়াম স্কুল সরিয়ে নিতে রাজউকের নোটিশ এবং স্কুলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মাহবুবুর রহমানকে দুদকে হাজির হতে দেওয়া দুদকের নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে গুলশান থেকে স্কুলটি সরিয়ে নিতেই হবে এবং ডা. মাহবুবুর রহমানকে দুদকে হাজির হতে হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রাজউক ও দুদকের নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা রিট আবেদনে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে জারি করা রুল গতকাল রোববার খারিজ করে এ রায় দেন। স্কুলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মাহবুবুর রহমান ২০১২ রোববার রিট আবেদনটি করেছিলেন। রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ইমদাদুল হক কাজী। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
গুলশান-২ নম্বরের ৬২ নম্বর সড়কের ৬ নম্বর প্লটে কানাডিয়ান ট্রিলিয়াম স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিধিবহির্ভূতভাবে আবাসিক এলাকায় স্কুল ভবন প্রতিষ্ঠা করায় রাজউক ছয় মাসের মধ্যে স্কুলটি সরিয়ে নিতে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মাহবুবুর রহমানকে নোটিশ দেয়। একই সঙ্গে স্কুল প্রতিষ্ঠায় অনিয়মের অভিযোগের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদক ডা. মাহবুবুর রহমানকে হাজির হতে নোটিশ দেয়। এই দুটি নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন মাহবুবুর রহমান। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ৫ জানুয়ারি রুল জারি করেন। রুলে দুদক ও রাজউকের নোটিশ দুটি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
আলোচিত ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গতকাল তা খারিজ করে দেন আদালত।