কারিগরি শিক্ষাকে আরো জনপ্রিয় করার ওপর গুরুত্বারোপ করে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকায় পরিবহন পুল ভবনে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা আমাদের অগ্রাধিকার। কিন্তু কারিগরি শিক্ষা হলো অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকার। আমাদের বিপুল সংখ্যক তরুণকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে যারা তরুণ, চিরকাল তারা তরুণ থাকবে না। এখনই তাদের দক্ষতা দিতে হবে। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমেই তরুণদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা দেয়া সম্ভব। এরা দেশে-বিদেশে কাজ করতে পারবে। উন্নত বিশ্বে শতকরা ৬০ থেকে ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী বিভিন্ন কারিগরি ট্রেডে পড়াশোনা করে। আমাদের দেশেও কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীর হার দ্রুত বাড়াতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে ভিশন ২০২১ অর্জন করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে জনপ্রিয় করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার যে লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে, তা অর্জনের জন্য কারিগরি শিক্ষা বিস্তারের কোন বিকল্প নেই। এজন্য ন্যাশনাল স্কিলস ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল পুনর্গঠন করে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা এরই মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় ১৪ শতাংশ ভর্তি হার নিশ্চিত করেছি। সরকার এই হার ২০২০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ ও ২০৩০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ৩০% করার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রতি উপজেলায় একটি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপন করা হচ্ছে।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উর্দ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।