বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার বিচারসহ ১০ দফা দাবিতে আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে আবারও আন্দোলনে নামছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র অন্তরা মাধুরী তিথি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকে ফের আন্দোলনে নামছি আমরা। সেখান থেকে আন্দোলনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে। ১০ দফা দাবি আদায় ছাড়া আমরা মাঠ ছাড়ব না।
খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সবাই গ্রেফতার ও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আবরার ফাহাদের খুনিদের বিচারসহ ১০ দফা দাবিতে টানা ছয়দিন ধরে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। ভর্তি পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে আন্দোলন দুদিনের জন্য শিথিল করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ায় শিবির সন্দেহে পিটিয়ে মারা হয় বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে গত ৫ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ।
এর জেরে পরদিন ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ইতিমধ্যে পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছেন। ১৩ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন, অনীক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ইফতি মোশারেফ, বুয়েট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিন, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে মুন্না, ছাত্রলীগের সদস্য মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম ওরফে তানভীর, মোহাজিদুর রহমানকে, শামসুল আরেফিন, মনিরুজ্জামান ও আকাশ হোসেন, মিজানুর রহমান (আবরারের রুমমেট), ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা এবং হোসেন মোহাম্মদ তোহা।
এদের মধ্যে ১৯ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।