এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে ১ এপ্রিল (সোমবার) থেকে ৬ মে পর্যন্ত সারা দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এই নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আগামী ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে ১১ মে পর্যন্ত। ১২ থেকে ২১ মে এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, দেশে নানা রকমের কোচিং সেন্টার রয়েছে। আইডিয়ালি কী হওয়ার কথা, শুধু যে পরীক্ষা হচ্ছে সে পরীক্ষার কোচিং বন্ধ থাকলে চলত। কিন্তু আমাদের এখানে একই জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন রকমের কোচিং হয়। আর এর আগে যখন কোচিং সেন্টার খোলা রাখতে নিষেধ করা হয় তখনও কিছু অসাধু ব্যক্তি নানাভাবে ওই নিষেধাজ্ঞাকে এড়িয়ে অসাধু উপায় অবলম্বন করেন এবং কোচিং সেন্টার খোলা রাখার বিভিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যান। সে কারণে আমরা বাধ্য হয়েই সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখছি। এইচএসসি পরীক্ষার সময় সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা হলে অন্য স্তরের শিক্ষার্থীদের যে অসুবিধা হতে পারে এ বিষয়ে আমরা সচেতন। ভবিষ্যতে এবিষয়ে আলোচনা করে একটি যৌক্তিক সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হবে।
তবে সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছিল এসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, প্রশ্নফাঁসের সাথে ফ্রিল্যান্স কোচিং সেন্টারের কেউ জড়িত নন, তাই ঢালাওভাবে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখলে শিক্ষা ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পাবলিক পরীক্ষার সময় ফ্রিল্যান্স কোচিং সেন্টার খোলা রাখার দাবি জানান তারা। একই সাথে সরকারের প্রতি প্রশ্নফাঁসের শেকড় অনুসন্ধানে আহ্বান জানান এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।