গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে গতরাতে কালবৈশাখী ঝড়ে ইদিলপুর ইউনিয়নের তরফসাদুল্যা এলাকায় একটি দারুল আরকাম মাদরাসা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। মাদ্রাসাটির পাঁচটি শ্রেণীকক্ষের টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। ক্লাস চালানো অনুপযোগী হয়ে পড়েছে মাদরাসাটি। যদিও করোনা মহামারির কারণে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী মাদরাসাটি এখন বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে পাঠদান শুরু হলে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করতে হবে শিক্ষার্থীদের। প্রতিষ্ঠানটিতে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।
বুধবার (২৭ মে) সকালে উপজেলার তরফ সাদুল্যা গ্রামে দারুল আরকাম (ইবতেদায়ি) মাদরাসায় সরেজমিনে দিয়ে দেখা যায়, মঙ্গলবার রাতে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষগুলো উড়ে গিয়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে৷
বিদ্ধস্ত শ্রেণিকক্ষ পড়ে আছে। বৃষ্টির পানিতে ভিজে পাঁচটি শ্রেণিকক্ষের ৪০ জোড়া বেঞ্চ নাজুক অবস্থায় বিচ্ছিন্ন ভাবে পড়ে আছে। বন্ধের পর মাদরাসাটি খুললে শ্রেণিকক্ষের অভাবে পাঠদান ব্যাহত হবে এমন শঙ্কায় অভিভাবকসহ শিক্ষকরা।
প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রউফ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানের জন্য মোট ২টি টিনশেড ঘর ছিল। প্রতিটি ছাউনির টিন উড়ে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষগুলো। কালবৈশাখী এ ঝড়ে পুরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তছনছ হয়ে ৩ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্কুল খোলার পর খোলা আকাশের নিচে মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করতে হবে, এছাড়া কোনো উপায় নাই। তাই তিনি দারুল আরকাম (ইবতেদায়ি) মাদরাসাটির মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।