কাল বৈশাখী ঝড়ে বরগুনার আমতলী উপজেলার একটি স্কুলসহ অর্ধ-শতাধিক ঘর সম্পূর্ণ ও আশিংক বিধ্বস্থ হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বুধবার (২৮ মে) রাতে। এতে অন্তত অর্ধ-কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে হঠাৎ প্রবল বেগে কালবৈশাখী ঝড় আমতলীতে আঘাত হানে। এ ঝড়ের স্থায়ীত্ব ছিল মাত্র আধা ঘন্টা। আধা ঘন্টার কালবৈশাখী ঝড়ে চাওড়া ইউনিয়নের কাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুর্ব কুকুয়া গ্রামের আবদুল হক ফকু হাওলাদারের গরুর খামার ঘর, বিধবা দেলোয়ারা বেগমের বসত ঘর, সেকান্দার বেপারীর মুদি মনোহরদি দোকান, শানু মৃধার বসত ঘর এবং পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের মিজানুর রহমানের ঘরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত অর্ধ-শতাধিক টিন শেডের ঘর বিধ্বস্থ হয়েছে। এতে অন্তত অর্ধ-কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চাওড়া কাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিন শেডের ঘর বিধ্বস্থ ও পাশে পাকা ভবনের কানিংশ ভেঙ্গে গেছে। পূর্ব কুকুয়া গ্রামের পাঁচটি ঘর সম্পূর্ন বিধ্বস্থ হয়ে গেছে।
কাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ ফেরদৌস আলম রাসেল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ঘুর্ণিঝড় সিডরে স্কুল ভবটি ভেঙ্গে পরেছিল। ওই সময় তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। গতকাল আবার কালবৈশাখী ঝড়ে সম্পুর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে পরেছে। বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ না করলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা হবে।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. রাশেদুল হাসান বশির মৃধা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ভেঙ্গে যাওয়া বিদ্যালয় ভবনটি দ্রুত নির্মাণের আবেদন জানাই।
আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মফিজুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে ২৬ টি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতির তালিকা নিরুপনের চেষ্টা চলছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কাল বৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের বসতঘর মেরামতের জন্য ঢেউটিন দেয়া হবে।