শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী পাকিস্তানের শিক্ষা অধিকার রক্ষা কর্মী মালালা ইউসুফজাই জাতিসংঘের প্রতি কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি, ভারতশাসিত কাশ্মীরের শিশুদের স্কুলে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ারও আবেদন জানান।
গত ৫ আগস্ট ভারত কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করে দেওয়ার পর থেকেই ওই অঞ্চলের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। শিশুরা স্কুলে যাচ্ছে না। এমনকি অধিকাংশ দোকানপাট ও গণযোগাযোগ পরিবহন এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।
মালালা গতকাল রবিবার হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের নেতাদের উদ্দেশে এক টুইটে বলেন, ‘আমি নেতাদের উদ্দেশে বলতে চাই, কাশ্মীরের শান্তি নিশ্চিত করার জন্য কাশ্মীরিদের বক্তব্য শুনুন এবং নিরাপদে শিশুদের স্কুলে যেতে সহায়তা করুন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি এখন কাশ্মীরে বসবাসকারী মেয়েদের কথা সরাসরি শুনতে চাই। যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার কারণে তাদের কথাগুলো শোনার জন্য বহু মানুষকে বহু কাজ করতে হবে। কাশ্মীরকে পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। ফলে তাদের কণ্ঠ আমরা শুনতে পাই না।’
গত শনিবার কাশ্মীরের ওপর কড়াকড়ি আরোপের ৪১তম দিন ছিল। বেশির ভাগ এলাকার দোকানপাট, ব্যবসা-বাণিজ্য এখনো বন্ধ। পুরো অঞ্চলের ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। উপত্যকার ল্যান্ডফোনগুলোর সংযোগ চালু করা হয়েছে। তবে মোবাইল ফোনের সংযোগ এখনো কুপওয়ারা ও হ্যান্ডওয়ারা পুলিশ জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
সরকারের তরফ থেকে অবশ্য স্কুলগুলো চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও নিরাপত্তাজনিত আশঙ্কার কারণে অভিভাবকরা তাঁদের শিশুদের স্কুলে যেতে দিচ্ছেন না। সূত্র : দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।