চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পরিসংখ্যান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফারসিম মোহাম্মদী আকাশ। প্রথম বর্ষের শুরু থেকে ক্লাস, ক্যাম্পাস ও বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে তাঁর সরব উপস্থিতি। কোনো সহপাঠী একদিন ক্লাসে না এলে ফোন করে খবর নিতেন। ভালো ব্যবহার ও ভালোবাসা দিয়ে বিভাগের সিনিয়রদের মনেও জায়গা করে নিয়েছিলেন। সেই মেধাবী ছাত্রটি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। তাঁর দুটি কিডনি বিকল হয়ে গেছে।
আকাশের বাড়ি মেহেরপুর জেলার ক্যাশবপাড়ায়। মা মাহফুজা খাতুন ছেলেকে একটি কিডনি দিচ্ছেন। কিন্তু টাকার অভাবে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনে চিকিৎসা শেষে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের ব্যাঙ্গালোরেতে ফরটিস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
চিকিৎসকরা তারিখ দিলেও টাকার অভাবে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হচ্ছে না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আকাশের অপারেশনে খরচ পড়বে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। তাঁর বাবা আমজাদ হোসেন মেহেরপুর কুলবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক। স্কুল শিক্ষক বাবার পক্ষে ৩০ লাখ টাকা জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি চাকরি ছেড়েছেন, জমিজমা বিক্রি করেছেন ও একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। বাবার একান্ত প্রচেষ্টা ও সহপাঠীরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা সংগ্রহ করলেও বাকি ১৫ লাখ টাকার জন্য অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে আকাশের।
আকাশের বাবা ছেলেকে বাঁচাতে বিত্তবান ও দয়ালু মানুষের সাহায্য কামনা করেছেন। সহায়তা পাঠনোর ঠিকানা : বিকাশ নম্বর : ০১৯৮৭৪৭৬২৪১ বা হিসাব নম্বর ১০০১৫১৫৫৬, সোনালী ব্যাংক, মেহেরপুর শাখা।