দেশের সর্বত্র গড়ে ওঠা কিন্ডারগার্টেনগুলোর কারণে প্রাথমিক শিক্ষার মান এখন প্রশ্নের মুখে রয়েছে। শহর ছাড়িয়ে মফস্বল, এমনকি গ্রামেও এখন গড়ে উঠছে কিন্ডারগার্টেন স্কুল। শিক্ষাবর্ষের শেষভাগে চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করে নামমাত্র ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি চলে এসব কিন্ডারগার্টেনে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে রাখা হচ্ছে সমাজের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের। রোববার (৮ মার্চ) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, অনেক কিন্ডারগার্টেনের বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন বিভিন্ন পর্যায়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। দুপুরের মধ্যেই ছুটি হয় বলে অনেক অভিভাবক বিনামূল্যে ভর্তি, বই, উপবৃত্তির সুযোগসহ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ ও মেধাবী শিক্ষকদের সেবার উৎস সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে তাদের সন্তানদের ভর্তি করাচ্ছেন নানা নামে গড়ে ওঠা এসব কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। কিন্তু বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে কমিশনসহ বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা নিয়ে স্কুলগুলোতে সরকারপ্রদত্ত বিনামূল্যের পাঠ্যবইয়ের বাইরেও পড়ানো হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় ও মানহীন বই? এছাড়া ভর্তি ফি, মাসিক বেতনসহ নানা খাতে নেয়া হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ। কোনো ধরনের পেশাগত প্রশিক্ষণ না থাকায় শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্যও রমরমা। যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা নিয়ন্ত্রণহীন এসব কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার মানোন্নয়নে যে কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না, তা বলাই বাহুল্য। এসব প্রতিষ্ঠানের মান যাচাই করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আবু ফারুক, সহকারী শিক্ষক, সদর, বান্দরবান