শিক্ষা কোনো পণ্য নয়। কিন্তু বর্তমানে গড়ে ওঠা কিন্ডারগার্টেনগুলোর কারণে শিক্ষার বিশেষ স্বকীয়তা প্রশ্নের মুখে। শহর ছাড়িয়ে মফস্সল এমনকি গ্রামেও তার বিস্তার ঘটছে। শিক্ষাবর্ষের শেষভাগে চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করে নামমাত্র ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করছে এসব কিন্ডারগার্টেন। সোমবার (২ মার্চ) দৈনিক ইত্তেফাক পক্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়,বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে রাখা হচ্ছে সমাজের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি আর ব্যবসায়ীদের। অনেক কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন বিভিন্ন পর্যায়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। দুপুরের মধ্যেই ছুটি হয় বলে অনেক অভিভাবক বিনামূল্যে ভর্তি, বই উপরন্তু মাসে মাসে উপবৃত্তিপ্রাপ্তির সুযোগসহ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ ও মেধাবী শিক্ষকদের সেবার উত্স সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে তাদের সন্তানদের ভর্তি করাচ্ছেন নানা নামে গড়ে ওঠা এসব স্কুলে।
কিন্তু বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে কমিশনসহ বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা নিয়ে স্কুলগুলোতে সরকার প্রদত্ত বিনামূল্যের পাঠ্যবইয়ের বাইরেও পড়ানো হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় ও মানহীন বই। এছাড়া ভর্তি ফি, মাসিক বেতনসহ নানা খাতে নেওয়া হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ। কোনো ধরনের পেশাগত প্রশিক্ষণ না থাকা শিক্ষকদের কোচিং কিংবা প্রাইভেট বাণিজ্যও রমরমা। শিক্ষার প্রকৃত মানোন্নয়নে যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা নিয়ন্ত্রণহীন এসব কিন্ডারগার্টেন সপষ্টতই বিষফোঁড়া। তাই এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি একান্ত কাম্য।
লেখক: আবু ফারুক, সহকারী শিক্ষক, সদর, বান্দরবান