কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার সময়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা নগরীর ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ (ডিগ্রী শাখা-২) কেন্দ্রে ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষার কক্ষে মোবাইল ফোন ও ব্যাগসহ ঢুকতে দেখা গেছে।
ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে দেয়া বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, কোন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ, সানগ্লাস, সিম বা ক্রেডিট কার্ড বা কোন প্রকার ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। এমন সিদ্ধান্তের পরেও শিক্ষার্থীদের তল্লাশী ছাড়াই ভবনে ঢুকতে দেখা যায়। এসময় কয়েকজনকে কেন্দ্রের ভিতরে মোবাইল ব্যবহার করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ (ডিগ্রী শাখা-২) কেন্দ্রের সমন্বয়ক মেহেদী হাসান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, 'প্রশাসনের সহযোগীতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। মিস ম্যানেজমেন্টের কারণে এমন হয়েছে। বিকেলের পরীক্ষায় যেন কোন অবিভাবক কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে এবং পরীক্ষার্থীরা ব্যাগ এবং মোবাইল না নিতে পারে সে বিষয়ে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।'
এই কেন্দ্রের প্রধান সমন্বয়ক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, 'বিষয়টি আমার নজরে আসে নাই। আর এগুলো তো প্রশাসন এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তিরা দেখবে।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, 'সংবাদটি পাওয়ার সাথে সাথে আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছি। তারা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোবাইল জব্দ করেছে। আর পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে বিষয়টি নিয়ে সবাই সজাগ থাকবে।’
সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া ‘এ’ ইউনিটে (বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ) সাতটি বিভাগে ৩৫০টি আসনের বিপরীতে ২৬ হাজার ৯৭৫ জন প্রার্থীর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের পাঁচ থেকে দশ মিনিট পর বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আসলেও ডুকতে দেয়া হয়নি। তবে, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৮ মিনিট পর এক নারী শিক্ষার্থীকে প্রবেশ করার অনুমতি দেন স্বয়ং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী। এতে বেশ কয়েকজন ভর্তিচ্ছু এবং অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সবার জন্য একই রকম নিয়ম হওয়া উচিত, পাঁচ মিনিট পরে আসলেও অনেক শিক্ষার্থী প্রবেশ করতে পারেনি আবার ১৮ মিনিট পর এসে পরীক্ষা দিতে পারে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় এমন অনিয়ম হতাশা জনক।