কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী দূর-দূরান্তের পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের বিনামূল্যে থাকা এবং কম খরচে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আবুল ফজল মীর এবং পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটের, বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরীর ১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রায় ৬৮ হাজারের অধিক পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের শহরে অবস্থান নিয়ে দেখা দেয় বিড়ম্বনা।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই নগরীতে ভর্তি-ইচ্ছুকদের ঢল নামে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনেকেই হোটেলে রুম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। বিশেষ করে মেয়ে পরীক্ষার্থীরা পড়েন সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে। পরীক্ষার্থীদের এমন দুর্ভোগের খবর ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে জানার পর মানবিক কারণে তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। পুলিশ সুপার পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের রাত যাপনের সুবিধার্থে পুলিশ লাইন্সের ভেতর নবনির্মিত ছয় তলা ব্যারাকটি উন্মুক্ত করে দেন। জেলা পুলিশের সদস্যদের মাধ্যমে তাদের মাঝে কম্বল, বালিশ, মশার কয়েল, খাবার পানি, মোমবাতিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করেন। এদিকে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ইনডোর স্টেডিয়ামে থাকা ও টাউন হল মাঠে নামমাত্র মূল্যে খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে রাত যাপনের উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে ভর্তি-ইচ্ছুকরা শুক্রবার সকালে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়েছে।
জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের এমন মানবিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকসহ বিভিন্ন মহলের লোকজন। পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, উচ্চশিক্ষার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে যারা এসেছেন তাদের মধ্য থেকেই দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধর সৃষ্টি হবে। এ পদক্ষেপ অনুসরণে তারাও মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন আদর্শ মানুষ হয়ে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।