কুড়িগ্রামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৪ মে) রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুড়িগ্রাম ছিল কুঁড়েগ্রাম। আমরা বলতাম কুঁড়েগ্রাম, চাইতেও জানে না। না রাস্তাঘাট, না কিছু। নদীতে পার হয়ে হয়ে যেতে হয়েছে। এখন তো ছয় ঘণ্টার মধ্যে চলে আসতে পারে, এ রকম ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। মঙ্গা যেন আবার ফেরত না আসে। ‘নদীর পাড় ধরে কয়েক মাইল পায়ে হেঁটে সেই চিলমারী পৌঁছেছিলাম রাজীবপুর গেছি, একটা রিকশাও নাই, এমন অবস্থা। ওখানে যাওয়ার কিছু নাই। সেখানে ব্রিজ করে দিয়েছি’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আমারই আইডিয়া। আমি বলেছিলাম এটা করবো, এটা হয়ে যাবে। আইন পাস করে দেবো আমরা, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হবে। শেখ হাসিনা বলেন, কুড়িগ্রাম খাদ্যে উদ্বৃত্ত, এটাই আমি খুব আনন্দিত। এটা ধরে রাখতে হবে। এখানে ফসল উৎপাদন বহুমুখী করতে হবে। চিলমারী বন্দরের কাজও আমরা শুরু করেছিলাম, এই করোনাভাইরাসের কারণে সব আটকে গেল। সেটাও হয়ে যাবে, নদীগুলো সব ড্রেজিং করা হবে। অনেক প্ল্যান নেয়া আছে। ‘আমি চাই কুড়িগ্রামের কুঁড়েমি দূর হয়ে কুড়িগ্রাম আরও উন্নত হোক। কুড়িগ্রামের মানুষ ভালো থাকুক। আর মঙ্গা যেন ফেরত না আসে’, বলেন সরকার প্রধান।
রংপুর অঞ্চল মঙ্গাপীড়িত ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সচ্ছল পরিবার ও প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, রংপুরে যেন মঙ্গা ফিরে না আসে, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রংপুরকে আমি বিশেষভাবে বলে যাচ্ছি, যেহেতু এটা একটি মঙ্গাপীড়িত এলাকা ছিল, এখানে যারা একটু সচ্ছল পরিবার আছেন বা আমাদের যারা প্রশাসন সকলকে আমি অনুরোধ করবো- এই এলাকায় যেন আবার মঙ্গা ফিরে না আসে। সে দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।