কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীকে তিন লাখ টাকাসহ অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে জনগণ। রোববার (৫ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনায় রাজারহাট থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের বালাকান্দি গ্রামের রিপন সরকার (৩৮) আতাউর রহমান আপেল (২৫) ও মেহেদি হাসান শিলু (২৮) নামের তিন প্রতারক ভুয়া ডিবি পুলিশ সেজে একই উপজেলার ডাংরারহাট বাজারে প্রবেশ করে। তারা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লকডাউন না করার কারণ জানতে চেয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। ভয়ে লোকজন দোকান বন্ধ করে দিগি¦দিক পালিয়ে যায়। এসময় তারা দু’জনের হাতে দুটি ওয়াকিটোকি নিয়ে ওই বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী ও বিকাশ এজেন্ট জাহাঙ্গীরের দোকান প্রবেশ করে। জাহাঙ্গীরের অনুপস্থিতিতে ওই দোকানে অবস্থানরত তার ভাতিজা ফিরোজকে বলে তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে দোকানের সমস্ত টাকা পয়সা নিয়ে থানায় যেতে হবে। ফিরোজ তাদের সাথে যেতে না চাওয়ায় ওই প্রতারক চক্র তাকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
এঘটনায় তারা ডিবি পুলিশ কিনা সন্দেহ হলে এলাকার এক যুবক মোবাইল ফোনে রাজারহাট থানার ওসির কাছে বিষয়টি জানতে চান। ওসি তাদেরকে আটক করার কথা বলেন। পরে কয়েকজন যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে অপহরণকারীর পিছু ধাওয়া করেন। পথিমধ্যে বাছড়া বাজারের সন্নিকটে অপহৃত যুবক বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলে অপহরণকারীরা মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী রিপন ও আতাউর রহমানকে আটক করে।
রিপন বালাকান্দি গ্রামের আ. রাজ্জাক ব্যাপারীর ছেলে এবং আতাউর মৃত-ইসমাইলের ছেলে বলে জানা গেছে। অপর প্রতারক মেহেদি হাসান পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সেও একই গ্রামের আ. হামিদ মন্ডলের ছেলে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। ওই মোটর সাইকেলের মালিক রাজা মিয়াও প্রতারক চক্রের সদস্য বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ কৃষ্ণ কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।