যশোর শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে অসহায় কৃষকদের ধান কেটে দেয়া হচ্ছে। আজ শনিবার (৯ মে) মণিরামপুর উপজেলায় গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এক কৃষকের ২ বিঘা ধান কেটে দেয়া হয়েছে। আগামীকাল রোবখুলনা, বাগেরহাট ও অভয়নগরে তিন কৃষকের ৬ বিঘা ধান কাটা হবে।
জানা যায়, মণিরামপুরে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেনের পক্ষ থেকে ধান কাটে দেয়া হয়েছে। ধান কাটার নেতৃত্ব দেন শিক্ষা বোর্ড অফিসার কল্যাণ সমিতির সভাপতি কামাল হোসেন। তার সাথে অংশ নেন গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করীমসহ শিক্ষক- কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।
কামাল হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রতিনিয়ত শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেনের নেতৃত্বে অসহায় কৃষকদের ধান কেটে দেয়া হচ্ছে। চেয়ারম্যান স্যার নিজে অংশ নিচ্ছেন। অসুস্থ্যতার কারণে মণিরামপুরে তিনি অংশ নিতে পারেননি। মণিরামপুরে নুর ইসলামের ধান কাটা হয়েছে। তিনি গোপালপুর অ্যান্ড কলেজের অভিভাবক। তার ছেলে শহিদুল ইসলাম একাদশ শ্রেণির শিক্ষর্থী।
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল তিন কৃষকের ধান কাটা হবে। তার মধ্যে থাকবে অভয়নগরে ২ বিঘা, খুলনার বয়রায় ২ বিঘা ও বাগেরহাট সদরে ২ বিঘা । তিন স্থানেই চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন অংশ নেবেন।
তিনি আরো জানান, এছাড়া যশোরের ঝিকরগাছায় সরকারি এমএলএ হাইস্কুলের পাশে ১ বিঘা, চৌগাছা আরাজি সুলতানপুর মাঠে ২ বিঘা ও নড়াইলের লোহাগড়া মঙ্গলভাঙ্গা বিলে ৪ বিঘা ধান কেটে অসহায় কৃষকদের সহযোগিতা করা হয়েছে।
কৃষক নুর ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, তিনি একজন বর্গা চাষী। তার নিজের কোন জমি নেই। বর্তমান এই পরিস্থিতিতে ধান কাটা নিয়ে তিনি বেশ চিন্তিত ছিলেন। শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে তার ধান কেটে দেয়া হয়েছে। তিনি এখন চিন্তামুক্ত ও খুবই আনন্দিত।