প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের উন্নীত পদ্ধতিতে বেতন নির্ধারণে ১৫ নভেম্বর জারি করা অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এই আদেশের ফলে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত যাদের ১ম, ২য় এবং ৩য় টাইমস্কেল ডিউ হয়েছে তারা টাইমস্কেল থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৬০১। এসব স্কুলে প্রধান শিক্ষক রয়েছেন ৫০ হাজারের মতো। অন্য সব স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ বর্তমানে শূন্য রয়েছে। এ ৫০ হাজারের মধ্যে ২৫ হাজারের বেশি হচ্ছেন পদোন্নতিপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রয়েছেন ১৫ হাজার ও জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়গুলোয় প্রধান শিক্ষক রয়েছেন ১০ হাজারের কাছাকাছি।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের অনুষ্ঠানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা এবং বেতন স্কেল দুই ধাপ উন্নীত করার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি সহকারী শিক্ষকদের এক ধাপ বেতন স্কেল উন্নীত করার ঘোষণা দেন; কিন্তু প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদার ভিত্তিতে বেতন স্কেল নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চিঠি চালাচালির পর গত ১৫ নভেম্বর যে আদেশ জারি করা হয়েছে, তাতে সংশ্লিষ্টদের বৃহৎ অংশই বাদ পড়েছেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় কতজন টাইমস্কেল পাওয়া থেকে বঞ্চিত আছে তার একটা খসড়া হিসাব চেয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে একটা খসড়া তালিকা তৈরি হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তালিকা মন্ত্রনালয়ে পৌছাবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। তারপরেই তারা অর্থমন্ত্রনালয়ে তালিকাসহ প্রস্তাব পাঠাবে।