২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেলে কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল পরীক্ষায় অসাধারণ নৈপুণ্যের জন্য বাংলাদেশের ৮২ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে ‘আউটস্ট্যান্ডিং কেমব্রিজ লার্নার অ্যাওয়ার্ড’। গতকাল শনিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল ও ব্রিটিশ কাউন্সিল যৌথভাবে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়।
পুরস্কারগুলোকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। সেগুলো হলো ‘টপ ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’, ‘টপ ইন কান্ট্রি’, ‘হাই অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘বেস্ট অ্যাক্রোস’। একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করায় বাংলাদেশের ২১ শিক্ষার্থী ‘টপ ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান। এই ২১ জনের মধ্যে ১৫ জনই গণিতে সর্বোচ্চ নম্বর পান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালক টম মিশশা, ডিরেক্টর অপারেশনস এক্সামিনেশনস জুনায়েদ আহমেদ, কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনালের ডেপুটি ডিরেক্টর থমাস কেন্দন, কেমব্রিজের দক্ষিণ এশিয়ার ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক পরিচালক সত্যজিৎ সরকার, কেমব্রিজের কান্ট্রি ম্যানেজার শাহীন রেজা এবং ব্র্যাকের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার ও চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুলের অ্যালামনাই ফারিন ইসলাম।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন পুরস্কার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের এই অর্জন তাঁদের সামনে দেশ-বিদেশে এক বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করল। এর মাধ্যমে তাঁরা বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালক টম মিশশা বলেন, এ বছর বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের কেমব্রিজ পরীক্ষায় যে অর্জন তা এ দেশের শিক্ষার মানোন্নয়নের একটি নিদর্শন। দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক সত্যজিৎ সরকার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দুর্দান্ত সাফল্যে আমরা অভিভূত। অন্য বিষয়গুলোর পাশাপাশি এবার বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অ্যাকাউন্টিং, আইন, আর্ট অ্যান্ড ডিজাইনের মতো বিষয়গুলোতেও অসাধারণ ফল অর্জন করেছে।’
জানা যায়, প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনালের বিভিন্ন কোর্স সম্পন্ন করেন। ৪০টিরও বেশি দেশের সর্বোচ্চ ফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিবছর এই পুরস্কার দেওয়া হয়।