দীর্ঘদিন ‘কোচিং বাণিজ্যের’ মাধ্যমে টাকা উপার্জনের অভিযোগে অভিযুক্ত ইংরেজির শিক্ষক মো: জহিরুল ইসলামকে ফের মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে এসেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের সুপারিশে তাকে মাত্র ৭ মাস আগে নেত্রকোনার দুর্গাপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছিল।
জানা গেছে সরকারের সচিব পর্যায়ে এক কর্মকর্তার তদবিরে জহিরুল ইসলাম মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলির আদেশ দিতে বাধ্য হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। সোমবার (১৫ অক্টোবর) এ বদলির আদেশ জারি করা হয়। তার বদলির খবরে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে, অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্ব পাওয়া অধ্যাপক মোহাম্মদ শামছুল হুদা এই বদলি ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। দুদকের তালিকাভুক্ত জহিরুলের জন্য যারা তদবির করেছিলেন তাদেরকে বলা উচিত ছিলো জহিরুল কোচিংবাণিজ্যে অভিযুক্ত। কিন্তু মহাপরিচালক তা না করে বরং সোমবার সন্ধ্যায় বদলি আদেশটি করানোয় তড়িঘড়ি করেন বলে জানা যায়।
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর মো: জহিরুল ইসলামসহ রাজধানীর আট প্রতিষ্ঠানের ৯৭ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘শাস্তিমূলক’ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক সচিব মো. শামসুল আরেফিনের স্বাক্ষরে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, এমপিওভুক্ত চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭২ জন শিক্ষক এবং সরকারি চারটি বিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যে যুক্ত বলে দুদক প্রমাণ পেয়েছে।
এ সুপারিশের প্রেক্ষিতে গত ৩১ জানুয়ারি মো: জহিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষককে ঢাকার বাইরে বদলি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এসময় জহিরুল ইসলামকে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে নেত্রকোনার দুর্গাপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছিলো।
উল্রেখ্য, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ হাফিজুল ইসলাম শিক্ষাখাতে জামাতপন্থী হিসেবে পরিচিত এবং তিনি ২০০৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে অদ্যাবধি ঘুরেফিরে গভর্ন্টমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল ও মতিঝিল বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে রয়েছেন।