সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ৫০০ থেকে ৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এদিকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে রোববার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে এসআই মির্জা বদরুল হাসান বাদী হয়ে বুধবার রাতেই ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে পুলিশের ওপর আক্রমণ ছাড়াও রয়েছে রাস্তা অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি ও যানবাহন ভাংচুর করে সম্পদের ক্ষতি করা।
শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান সমকালকে বলেন, মামলা হলেও গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। বুধবারের ওই ঘটনায় আটক ৬৩ বিক্ষোভকারীকে পরে রাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। এখন ঘটনাটি তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোটা সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে বুধবার সকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার উদ্দেশে যাওয়ার সময় হাইকোর্ট এলাকায় আন্দোলনকারীদের বাধা দেয় পুলিশ। তখন সেখানেই অবস্থান নেন তারা। পরে তাদের রাস্তা থেকে সরাতে টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হন।
সংশ্নিষ্টরা জানান, কোটা সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে একমাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো, কোটা ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে, কোটায় বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া যাবে না, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায়
কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাটমার্কস ও বয়সসীমা নির্ধারণ করতে হবে এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য থাকা পদগুলোতে মেধায় নিয়োগ দিতে হবে।