দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেয়া কোয়ারেন্টিন আইন লঙ্ঘন করার দায়ে ২৭ বছর বয়সী এক যুবককে চার মাসের জেল দেয়া হয়েছে। সেখানে এ ধরনের শাস্তি এটাই প্রথম। ওই যুবকের নামের শেষ অংশ কিম। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে সিউলের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে ছাড় দেয়ার পর বলা হয়, দু’সপ্তাহ তাকে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকতে হবে। কিন্তু ১৪ দিনের ওই কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র দু’দিন আগে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। এ খবর জানাজানি হয়। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় করোনা বিষয়ক আবাসিক সেন্টারে।
সেখান থেকে তিনি আবার বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ফলে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ আইন লঙ্ঘন করার দায়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিউলের নাইটক্লাবগুলোতে নতুন করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর কোয়ারেন্টিন নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর দমনপীড়ন শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়া। সেখানে প্রতিদিন নতুন করে দিনে প্রায় ২০ জন আক্রান্ত হচ্ছেন। সারা দেশে স্বেচ্ছা-আইসোলেশনে আছেন কমপক্ষে ৩৩,০০০ মানুষ। এর বেশির ভাগই বিদেশ থেকে ফিরেছেন। যারা কোয়ারেন্টিন আইন লঙ্ঘন করবে তাদের চলাচলের ওপর নজরদারি করতে ইলেক্ট্রনিক ব্রেসলেট পরানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে এই ডিভাইস পরানো হয়েছে।