ভবনে আগুন লাগা বর্তমান সময়ে একটি নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটি কাটিয়ে ওঠা মুশকিল। আর সেটি যদি হয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীও, তাহলে তো দুর্ভোগের শেষ নেই। স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো সকল ক্লাসরুম এবং ভবনে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র নেই। কিছু কিছু ভবনে খুবই অল্প পরিসরে থাকলেও বেশিরভাগ জায়গাতেই নেই এই যন্ত্র। যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে বিজ্ঞানভবনের ল্যাবগুলোতে দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ থাকায় আগুন লাগার সম্ভাবনা বেশি। আর আগুন লাগলে সেটি থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই বললেই চলে। ফায়ার অ্যালার্ম এবং ফায়ার এক্সটিং গুইশার নেই। এমনকি হলগুলোতেও নেই পর্যাপ্ত আগুন নির্বাপণ যন্ত্রের ব্যবস্থা। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, সম্প্রতি আগুন লাগার যতগুলো ঘটনা ঘটেছে সবগুলোতেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের অপ্রতুলতার জন্য হতাহতের সংখ্যা বেশি হয়েছিল। এই যন্ত্র স্থাপনের মাধ্যমে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বাঁচানো যেতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো স্বপ্নাতুর মেধাবী শিক্ষার্থীকে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি— সকল একাডেমিক, প্রশাসনিক ভবন, হলসমূহ, টিএসসিসি, জিমনেসিয়াম ইত্যাদি জায়গায় অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র স্থাপন করুন।
মো. বিল্লাল হোসেন : শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।