প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের ম্যাচ ফি ২৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তিন দিন স্থায়ী আন্দোলনের রেশ কাটার আগেই তার সুফল পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ম্যাচ ফি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আনুষঙ্গিক অন্যান্য সুবিধাও বাড়িয়েছে বিসিবি।
আন্দোলনের শুরুতে ১১ ও পরে ১৩ দফা দাবি জানিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। এতে অনুশীলন সুবিধা, জিম, ভালো আবাসন, ম্যাচ ফি, দৈনিক ভাতা এবং যাতায়াত ভাতা—সবকিছু নিয়েই নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছিলেন সাকিব-তামিমরা। এ সময় তারা ম্যাচ ফি এক লাখ টাকা হওয়া উচিত বলে জানিয়েছিলেন। তা না হলেও অন্তত পঞ্চাশ ভাগ বাড়ানো উচিত বলে মন্তব্য করেন তারা।
বিসিবি আন্দোলনের সময় সব দাবি মেনে নেয়ার কথা বলেছিল। আজ এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে জাতীয় লিগের দুই স্তরেই বেতন ভাতা বাড়ানো হচ্ছে। এবং সেটা দাবির শর্ত মেনেই এই জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ড থেকেই প্রযোজ্য হবে। আপাতত চার দিনের ম্যাচের জন্য এক লাখ টাকা দেয়া না হলেও সেটা ৭১ থেকে শতভাগ বাড়ানো হচ্ছে। দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচ ফি ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার করা হচ্ছে। আর প্রথম স্তরের বেতন ৩৫ হাজার থেকে ৭১ ভাগ বাড়িয়ে ৬০ হাজার করা হয়েছে।
আন্দোলনে যাতায়াত ভাতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল বা উড়োজাহাজের টিকিটের কথা বলা হয়েছিল। বিসিবি যেখানে সম্ভব সেখানে আকাশ পথে নেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। আর যে ভেন্যুতে আকাশ পথে যাওয়া সম্ভব নয়, সেখানে সাড়ে তিন হাজার টাকা ভাড়া দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এবারের জাতীয় লিগের প্রথম দুই রাউন্ডে যাতায়াত ভাতা হিসেবে আড়াই হাজার টাকা পেতেন ক্রিকেটাররা। দৈনিক ভাতাও দেড় হাজার থেকে আড়াই হাজার করা হয়েছে।
এ ছাড়া আবাসনের ক্ষেত্রে ব্যয় ৮০ ভাগ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ম্যাচের দিনের খাবারের খরচও ৮৫ ভাগ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। আর ভেন্যু থেকে হোটেলে যাওয়ার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের ব্যবস্থার কথা বলেছে বিসিবি।