শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিফটভিত্তিক করে খুলে দেয়া উচিৎ। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের প্রতিষ্ঠানে নিজ দায়িত্বে পৌঁছে দেবেন এবং নিয়ে যাবেন। দুইটা শিফট চালু করতে হবে। প্রতি বেঞ্চে দুইজন শিক্ষার্থী বসবে। কোনো বিরতি থাকবে না। ক্লাসের সময় সীমিত হবে।
প্রাথমিক স্তরের (১ম-৩য়) শ্রেণির ক্লাস সকালের শিফটে পরিচালিত হবে। আর (৪র্থ-৫ম) শ্রেণির ক্লাস বিকেলের শিফটে পরিচালিত হবে। মাধ্যমিক স্তরের (৬ষ্ঠ-৮ম)শ্রেণির ক্লাস সকালের শিফটে পরিচালিত হবে। আর (৯ম-১০ম) শ্রেণির ক্লাস বিকেলের শিফটে পরিচালিত হবে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের (একাদশ) ১ম বর্ষের ক্লাস সকালের শিফটে পরিচালিত হবে। আর (দ্বাদশ) ২য় বর্ষের ক্লাস বিকেলের শিফটে পরিচালিত হবে।
শিক্ষকদেরকে দুইটা গ্রুপে ভাগ করা হবে। যে গ্রুপের শিক্ষকরা সকালের শিফটে ক্লাস নেবেন তারা বিকেলের শিফটে ক্লাস নেবেন না। এমনিভাবে যারা বিকেলের শিফটে ক্লাস নিবেন তারা সকালের শিফটে ক্লাস নেবেন না। একদিন পরপর শিক্ষকদের শিফট পরিবর্তন হবে। অর্থাৎ শিক্ষকদের যে গ্রুপ যেই দিনে সকালের শিফটে ক্লাস নেবেন সেই গ্রুপ পরবর্তী দিবসে বিকেলের শিফটে ক্লাস নেবেন। এমনিভাবে শিক্ষকদের যে গ্রুপ যেই দিন বিকেলের শিফটে ক্লাস নেবেন সেই গ্রুপ পরবর্তী দিবসে সকালের শিফটে ক্লাস নেবেন। এভাবে শিক্ষকদের শিফট পরিবর্তন হবে।
বিরতিহীনভাবে ক্লাসের সময় সংক্ষিপ্ত করে ক্লাসের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পর্যাপ্ত হ্যান্ডওয়াশ ও প্রতি ক্লাসে হ্যান্ড সেনিটাইজারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সকলের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে শিক্ষকদের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কোনো শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মাঝে করোনার লক্ষণ পরিলক্ষিত হলে দ্রুত স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে এবং উক্ত ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত আসনব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আমার মনে হয় এরকম বাধাধরা নিয়ম কার্যকর করত এদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া উচিৎ। নইলে শিক্ষাব্যবস্থায় ধস নেমে আসবে।
লেখক : নাসির উদ্দীন, সহকারী মৌলভী, হাঁড়াভাংগা ডি এইচ ফাজিল মাদরাসা, গাংনী, মেহেরপুর।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন।]