পিরোজপুরের কাউখালীর সীমান্তবর্তী জোলাগাতী দারুল উলুম মাদরাসার সামনের খালে ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাঁকো দিয়ে চলাচলকারী বহু শিশুশিক্ষার্থীসহ বৃদ্ধরা প্রতিনিয়ত পা পিছলে পানিতে পরে যায়। এতে অনেকে হতাহত হয়। জনপ্রতিনিধিরা অবহেলিত এই জনপদে উন্নয়নের আশার বাণী শুনালেও বাস্তবে কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এখানে। অবিলম্বে এ খালে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান তারা।
জানা যায়, কাউখালীর সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলে জোলাগাতী দারুল উলুম মাদরাসা। মাদরাসার সামনে কাউখালী-ভান্ডারিয়া সংযোগ খালের উপরে রয়েছে একটি ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খাল পারাপারে শিক্ষার্থীসহ এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা এই সাঁকো। শিশু শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধদের পারাপারের সুবিধার্থে সাঁকোর দুই পাশে লাগানো হয়েছে মাছ ধরার জাল।
মানববন্ধন শেষে মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা আব্দুল রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘স্বাধীনতার পর থেকেই এই এলাকার হত-দরিদ্র মানুষের চরম দুঃখ-দুর্দশা। শিক্ষা আলো থেকেও বঞ্চিত তারা। বিষয়টি অনুভব করে এখানে মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু মাদরাসায় যাতায়াতের জন্য কাউখালী-ভান্ডারিয়া সীমানার জোলাগাতী খাল পারাপারের জন্য ব্রিজ না থাকায় চার যুগ পর্যন্ত এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে বাঁশ ও সুপারি গাছ দিয়ে সাঁকো তৈরি করি।’
তিনি আরও জানান, মাননীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য বার বার আবেদন করলেও আজ পর্যন্ত খালটিতে কোনো ব্রিজ নির্মাণ করা হয় নাই। যে কারণে এলাবাসীকে সাথে নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ব্রিজের দাবিতে আমরা এ মানববন্ধন করি। কর্তৃপক্ষের নিকট আমাদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রী ও জনসাধারণের পারাপারের জন্য একটি ব্রিজ নির্মাণের ব্যবস্থা করবেন।’
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘ব্রিজটি খুবই জন গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিজের জন্য রোড ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সাঁকোর স্থলে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।’