খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন। তদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মেনে নিয়ে দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপর ১ টায় খুবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপির জবাব দেয় ছাত্র বিষয়ক পরিচালক দপ্তর।
তাদের প্রধান দাবি সমুহ, লাইব্রেরি বন্ধের সময় ৮.৩০ পর্যন্ত বৃদ্ধি, লাইব্রেরিতে ফ্রি জোন সম্প্রসারন, লাইব্রেরি কার্ড তৈরির সময় বৃদ্ধি, পরিবহন পুলে নতুন বাস সংযোজন, পরিবহন রুট বৃদ্ধি, হলগুলোতে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, মেডিকেল সেন্টারে নতুন ইসিজি মেশিনের দরপত্র আহ্বানসহ ডিসেম্বরে রোটারি ভবনে মেডিকেল ভবন স্থানান্তর। এছাড়াও ২৪ ঘণ্টা মেডিকেলে ডাক্তারি সেবা নিশ্চিত করা, জানুয়ারি থেকে রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া অনলাইনে রূপান্তর। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নেয় প্রশাসন। এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাগুলোর দ্রুত সময়ে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে খুবি প্রশাসন।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ ব্যাচ থেকে বেতন ফি ৭৯০ টাকা থেকে বেড়ে ১৭৬৯ টাকা করা হয়। পরবর্তীতে ১৭ ব্যাচে তা বেড়ে ৩৭৮৬ টাকা হয়। দেখা যায় ১৫ ব্যাচে ১২৩ শতাংশ, ১৭ ব্যাচে ৮৫ শতাংশ এবং ১৯ ব্যাচে ১৯.৮৪ শতাংশ হারে অস্বাভাবিক বেতন বৃদ্ধির বিয়য়ে প্রশাসনের আগামি টার্মের রেজিস্ট্রেশনের আগে ব্যাখা দিবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন বলেন, বেতন ফির বৃদ্ধির ব্যাপারে অন্যান্য ৪২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করা হবে। আর শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ দাবিগুলো চলমান সিস্টেমেই সমাধান করা সম্ভব।
আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে দাবিগুলো পূরণ করার।
এছাড়াও আবাসন সংকটের কথা মেনে নিয়ে হল সংখ্যা বৃদ্ধি ও বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী মেসগুলোর ভাড়া নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ব্যবস্থা করে তা নিয়মিত মনিটরিংয়ের আওতায় আনার আশ্বাস দেয় প্রশাসন। ছাত্রী হলে নিরাপত্তা, কর্মচারীদের আন্তরিকতা বৃদ্ধি, বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ অন্যান্য সমস্যা আরো গুরুত্বসহ দেখা হবে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম রণি বলেন, আমাদের প্রশাসনের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তারা আমাদের দাবিগুলোর বাস্তবায়ন করবেন। তবে আমাদের দাবিগুলো পূর্ণ বাস্তবায়ন হলেই আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হবো।
উল্লেখ্য, গত ১৪শে নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ফি ও বিভিন্ন সেবা প্রাপ্তি নিয়ে অসন্তুষ্টি ও উদ্বেগ জানিয়ে ছাত্র বিষয়ক পরিচালক দপ্তরের মাধ্যমে ভিসি বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয়।