খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিন (ফউটে) বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রথম শিক্ষক ও ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর মো. আব্দুল মতিন আর নেই। শুক্রবার দিবাগত রাত ১.৩০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় নগরীর সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না...রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি কিছুদিন যাবত কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিলেন।
দীর্ঘদিন নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে তিন বছর আগে তিনি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মজীবনে জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিলসহ বিভিন্ন বডি ও কমিটিতে সদস্য এবং অপরাজিতা হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সর্বশেষ তিনি খুলনায় অবস্থিত নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (এনইউবিটি) এর রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, একমাত্র পুত্রসহ (বিদেশে অবস্থানরত) অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও ছাত্র-ছাত্রী রেখে গেছেন। শনিবার (১৮ মে) বাদ যোহর খুলনা আলিয়া মাদরাসা মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে টুটপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। নামাজে জানাজায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান, ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধানসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরাসহ বিপুল সংখ্যক শুভানুধ্যায়ীরা অংশগ্রহণ করেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফয়েক উজ্জামান তাঁর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোক বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রফেসর মো. আব্দুল মতিন ছিলেন একজন অত্যন্ত বিনয়ী ও শান্তি প্রিয় মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো বিষয়ে কখনো কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে তিনি প্রশাসনের পাশে এসে দাঁড়াতেন এবং সমস্যা নিরসনে সবসময়ই সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মজীবনে তিনি সর্বদাই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতেন এবং অবসর গ্রহণের পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জ্ঞাপন করেন তিনি।
এ সময় আরও শোক প্রকাশ করেনবিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. রায়হান আলী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, ফউটে ডিসিপ্লন প্রধান প্রফেসর ড. মো. এনামূল কবীরসহ ডিসিপ্লিনের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।