খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা জাতীয়করণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মাদ্রাসাটি জাতীয়করণ করা হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ সারা দেশের মধ্যে ইসলামি শিক্ষায় একটি আদর্শ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
সোমবার (২৬শে ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় খুলনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খুলনা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আবুল খায়ের মোহাম্মদ যাকারিয়া বলেন, মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে মাদ্রাসাটির অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আশা করছি, আগামী ৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানের জনসভায় মাদ্রাসাটি জাতীয়করণের ঘোষণা দেবেন।
পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান বলেন, খুলনা আলিয়া মাদরাসা শিল্পনগরী খুলনার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে মাদ্রাসাটিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। খুলনার সর্বস্তরের মানুষ মাদ্রাসাটি সরকারিকরণ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন। আশা করছি, খুলনাবাসীর ন্যায্য দাবি হিসেবে আগামী ৩ মার্চের সার্কিট হাউজের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মাদ্রাসাটি জাতীয়করণের ঘোষণা দেবেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে মাদ্রাসাটি সরকারিকরণ প্রকল্পাধীনে নিয়ে মাদ্রাসার কোন প্রকার স্টাফ নিয়োগ, কর্মরত স্টাফদের পদোন্নতি কিংবা বেতন বৃদ্ধি, মাদ্রাসার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিন্তু পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জাতীয়করণ বিষয়ে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাদ্রাসাটি সরকারিকরণের পদক্ষেপ নিলেও পরে তৎকালীন সরকার বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে যান।