উপকূল অতিক্রমরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও সামান্য উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে (সুন্দরবনের কাছ দিয়ে) পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল অতিক্রম করেছে। রোববার (১০ নভেম্বর) ভোর ৫টায় এটি খুলনা ও বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিম অঞ্চলে (২২ দশমিক ০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯ দশমিক ৪ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ক্রমশঃ দুর্বল হতে পারে। এর প্রভাবে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে (২৯ নম্বর) এমন তথ্যই জানানো হয়েছে।
সাতক্ষীরায় শনিবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে প্রচণ্ড বর্ষণসহ সেখানে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। চুনো নদীর পানি বেড়ে শ্যামনগরের সুন্দরবন লাগোয়া জতীন্দ্রনগর এলাকার রাস্তা-ঘাট প্লাবিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল : সহায়তা মিলবে যেসব নাম্বারে
বুলেটিনে জানানো হয়, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে নয় নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো নয় নম্বর মহবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া বুলবুল অতিক্রমের সময় উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এসব এলাকার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুটের অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ দেয়ার আগ পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।