খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় শিক্ষকের বেত্রাঘাতে সৌমেন সাহা নামে এক ছাত্র অসুস্থ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সে উপজেলার মিকশিমিল রুদাঘরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। বেত্রাঘাতের পর সৌমেন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে তার পরিবার জানিয়েছে।
শনিবার (৩ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে বাংলা ক্লাস চলাকালীন ক্লাসের শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম সৌমেনকে বেত্রাঘাত করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
সৌমেনের আত্মীয় রাহুল সাহা বলেন, সৌমেনের শরীরে অন্তত ৩০টি বেতের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ডুমুরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার নীলাঞ্জন ঘোষ বলেন, গতকাল রাতে সৌমেন নামে ঐ ছাত্র শরীরে অসংখ্য ক্ষতের চিহ্ন নিয়ে হাসপাতালে আসে। তাকে আমরা ব্যথানাশক ওষুধ দিয়েছি, আজ সকালে ভালো বোধ করায় সে বাসায় ফিরে গেছে।
নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি: অভিযুক্ত শিক্ষক
১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দের শিক্ষক আচরণবিধিতে বাচ্চাদের মারধর না করার নির্দেশ রয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম এ ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ক্লাস চলার সময় সৌমেন বেশি দুষ্টুমি করছিল তাই তাকে বেত্রাঘাত করতে আমি বাধ্য হয়েছিলাম।
আচরণবিধি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, সেই মুহূর্তে তিনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।
তবে আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি স্বীকার করলেও স্কুলের প্রধান শিক্ষক কালাম জোয়ারদার বেত দিয়ে মারার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ঐ শিক্ষক হয়তো ছাত্রটিকে চর-থাপ্পড় মেরে থাকতে পারেন। তবে আগামী ৬ নভেম্বর স্কুলের একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা কী হয়েছিল সেটা তদন্ত করে দেখা হবে।
স্কুলে শিক্ষার্থীদের ওপর বেত্রাঘাত বা যে কোন শারীরিক শাস্তি সরকার নিষিদ্ধ করার পরেও এই ধরণের ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না।২০১২ খ্রিস্টাব্দের আগে কুষ্টিয়ার পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যক্ষের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত কয়েকজন ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিতে হয়। একই বছর রাজধানী ঢাকার কাছে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের বেত্রাঘাতের কারণে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর চোখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল; যা ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছিল।
সূত্র: বিবিসি