বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা জেলা শাখার ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ৭২ ঘণ্টার জন্য স্থগিত করা হয়েছে। রোগীর স্বজনদের হামলায় এক চিকিৎসক নিহত হওয়ার ঘটনায় কর্মবিরতি ডাকা হয়। ওই সময়ের মধ্যে এজাহারভুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার,সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার এবং মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে না নেয়া হলে আবারও কর্মবিরতি পালন করার হুমকি দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
খুলনা প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ওই ঘোষণা দেন বিএমএ খুলনা জেলা শাখার নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিএমএর সভাপতি চিকিৎসক শেখ বাহারুল আলম।
খুলনা নগরের এক চিকিৎসককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কর্মবিরতি পালন করছিলেন চিকিৎসকেরা। এতে শুধু খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও করোনা হাসপাতাল ছাড়া সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
এদিকে হঠাৎ হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন রোগীরা। সকাল থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীরা ভিড় করতে থাকে। কিন্তু চিকিৎসা না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী নেওয়াজ বলেন,সদর থানার ওসি ঘটনাটিকে গুরুত্বই দেননি। নিহত চিকিৎসক পরিবারের সদস্যরা থানায় অভিযোগ করতে গেলে সেটিকে প্রথমে তিনি আমলে নেননি। যেটি কোনোভাবেই বাঞ্ছনীয় ছিল না। তার ওই অবহেলার কারণেই আসামিরা পালানোর সুযোগ পেয়েছেন। এই ওসিকে থানায় রেখে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সম্ভব নয়। এ কারণে তাকে প্রত্যাহার করতে হবে।
মেহেদী নেওয়াজ আরও বলেন,চিকিৎসক নিহত হওয়ার বিষয়টিকে পর্যালোচনা করে আসামিদের গ্রেপ্তার ও ওসির প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে কর্মবিরতি পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রথম দিনেই এজাহারভুক্ত চার আসামির মধ্যে তিনজন গ্রেপ্তার হওয়ায় বিএমএ কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। তবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওই তিনটি দাবি মেনে না নেওয়া হলে আবারও কর্মবিরতিসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন চিকিৎসকেরা। সংবাদ সম্মেলনের আগে খুলনা বিএমএ ভবনে এক জরুরি বৈঠক করেন চিকিৎসকনেতারা।