ঈদের ছুটি শেষে রোববার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে ফিরেছেন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। কিন্তু আবাসিক হলগুলোর ক্যান্টিন ও ডাইনিং না খোলায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। চড়া দামে বাইরে থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী খাবারের সংকটের বিষয় জানতে পেরে ক্যাম্পাসে ফিরতে বিলম্ব করছেন। ফলে একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বরাবরই কোনো দীর্ঘ ছুটি শুরু হওয়ার আগেই হলের ডাইনিং বা ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে যায়। আবার ছুটি শেষ হওয়ার কয়েকদিন পর খোলা হয়। দেরিতে খোলার কারণে বিপাকে পড়তে হয় হলে অবস্থানরত হাজার হাজার আবাসিক শিক্ষার্থীকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাঁচটি আবাসিক হলের মধ্যে দুটি হলের শুধু ক্যান্টিন খোলা হয়েছে। বাকি তিনটি হলের ডাইনিং কিংবা ক্যান্টিন কোনোটাই খোলা হয়নি। নবাব সিরাজ উদ্ দৌলা হল ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ক্যান্টিন খোলা হয়েছে।
নবাব সিরাজ উদ্ দৌলা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. ইছাক এর সাথে সোমবার সকালে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গতকাল ডাইনিং ক্যান্টিন খোলার কথা ছিল। কেন এখনো খোলা হয় নাই তা জানি না। এরা সবাই গা ঢিলা দিয়েছে, এদের সবাইকে ছাঁটাই করতে হবে।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, আজ রাত (সোমবার) থেকে নজরুল হলের ডাইনিং চালু করা হবে। ক্যান্টিন চালু করা হয়েছে। তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ওই হলে ডাইনিং ক্যান্টিন কোনোটাই খোলা হয় নাই।
ক্যান্টিন ম্যানেজার জাহিদ জানান, মঙ্গলবার সকালে খোলা হবে। কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হলের সহকারী প্রভোস্ট শিমুল চন্দ্র সরকার জানান, যেদিন থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় সেদিন থেকেই ডাইনিং ক্যান্টিন খোলার কথা। আমি ছুটিতে আছি তাই এ ব্যাপারে সঠিকভাবে বলতে পারছি না। ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্টের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।