গাজীপুর শিক্ষা অফিসে ‘ঘুষ বাণিজ্যের’ তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেখানে অভিযান চালানোর পর গতকাল বুধবার দুদক টিম এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের একটি দল গত মঙ্গলবার গাজীপুরের মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে অভিযান চালায়। তারা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানাসহ কার্যালয়টির কয়েক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ঘুষ কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ খতিয়ে দেখে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা গাজীপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস পরিদর্শন পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
জেলা শিক্ষা অফিসে এমপিও করানোসহ বিভিন্ন কাজে ঘুষ নেওয়ার খবর সংবাদপত্রে আসার পর দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক (দুদক) শেখ গোলাম মাওলা এবং উপ-সহকারী পরিচালক খন্দকার নিলুফার ইয়াসমিন মঙ্গলবার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যান।
এরপর বুধবার জেলা শিক্ষা অফিসে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করে ঘুষের কারবার বন্ধে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পক্ষ থেকে।
এদিকে, দুদকের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি, টাইম স্কেল ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে গাজীপুরের মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে অভিযান চালানো হয়। দুদকের দল জানতে পারে, শিক্ষকদের নানা কার্যক্রমে গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলা শিক্ষা অফিসে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি দুদকের দল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তিনি সব উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে একটি সমন্বয় সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন এবং যে কোনো কার্যক্রম ঘুষ-লেনদেন ব্যতিরেকে হবে এরূপ একটি অফিস আদেশ জারির উদ্যোগ নেন।